Facebook Security Tips


Facebook Security Tips

জনপ্রিয় সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফেসবুক। আজকে আমরা সে ফেসবুকের সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে আরো বিস্তারিত জানব, এবং ফেসবুক কি আসলেই হ্যাক করা যায় কিনা সেটি নিয়ে আলোচনা করব। ফেব্রুয়ারি 2004 সালে ফেসবুক সর্বপ্রথম চালু হয় এটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, সদর দফতর মেনলো পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ফেসবুকের সুরক্ষা দেওয়ার কাজ যিনি করেন প্রধান সিকিউরিটি ইনচার্জ অ্যালেক্স স্টামোস, ফেসবুক সম্পর্কে বেসিক কিছু তথ্য আমরা জেনে নিলাম এখন জানবো ফেসবুক সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে

ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা (২.৮)ল বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী। 
এত সংখ্যক মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের কাছে আছে দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার প্রাইভেসি ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি। 

আজকে আমরা জানবো ফেসবুক হ্যাক করা যায় কিনা ? অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই দেখা যায়
কিন্তু বাস্তবে আসলেই ফেইসবুক হ্যাক করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। আপনারা হয়তো অনেকেই  ইউটিউবে ভিডিওর মধ্যে দেখেছেন বা শুনেছেন যে ফেসবুক হ্যাক করা সম্ভব বাস্তবে এগুলো ফেক ভিডিও।  
কারণ ফেসবুক তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম কে সুরক্ষা দেয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আমরা যদি ফেসবুক কে দুটি ভাগে বিভক্ত করি তাহলে  লক্ষ্য করবেন আমরা যে প্রোফাইল ব্যবহার করি তার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। 


এটিকে আরও সহজভাবে বলতে গেলে দেখবেন ফেসবুকে আমরা যখন নতুন একাউন্ট খোলার জন্য সমস্ত তথ্য গুলো ফেসবুকে  দিয়ে থাকি তখনই ফেসবুক আমাদেরকে তাদের ওয়েবসাইটে ঢোকার পারমিশন দেয়,  আমাদেরকে একটি আইডি বা আইডেন্টিটি দিয়ে থাকে যেটির মাধ্যমে অন্য ফেসবুক ব্যবহারকারী আমাদেরকে খুঁজে পেতে সহজ হয়। 
 
আপনি যখন আপনার কোন বন্ধুবান্ধবকে আপনার ফেসবুক লিংকটি কপি করে মেসেঞ্জার হোয়াটঅ্যাপ  ইমেইল ইত্যাদি তে এটি সেন্ড করেন তখন কিন্তু তারা এ লিংকে ক্লিক করে খুব সহজে আপনাকে পেয়ে যাবে, কারণ আপনি যে লিঙ্ক দিয়েছেন এটি  আপনার একটি আইডেন্টিটি, এবং এই লিঙ্ক এর মধ্যেই সমস্ত তথ্য আপনার প্রাইভেসি পলিসি আপনার প্রোফাইল সেটআপ আপনার ডেট অফ বার্থ ডে পাসওয়ার্ড ইত্যাদি এগুলো সংরক্ষিত থাকে।

এই সংরক্ষিত তথ্য গুলি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, কয়েকটি মাধ্যমে  এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে ধরুন আপনার ফেসবুকে আপনি রিকভারি ফোন নাম্বারটি দিয়েছেন বা রিকভারি ইমেইল,  এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে আপনার ফেসবুক হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার রিকভারি ফোন নাম্বারটি আপনার মোবাইলে আছে যখন কেউ আপনার ফেসবুক লিঙ্কটি নিয়ে রিকভারি দিবে তখন একটি রিকভারি ভেরিফিকেশন কোড আপনার ফোনে যাবে আপনার দেওয়া নাম্বারে বা আপনার দেওয়া ইমেইলে, তখন এটি কারো হাতে এসে যাওয়া মানে হচ্ছে আপনার ফেসবুক তার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া। এটিকে বলে থাকি আমরা পার্সোনাল হ্যাকিং,  
এখানে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হ্যাকার সাধারণত দুই প্রকার থাকে, যাদেরকে আমরা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এবং হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হিসেবে চিনি, যারা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার তারা সাধারণত বিভিন্ন ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি সংযুক্ত থাকে। আর যারা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার,  তারা বিভিন্ন ভালো কাজের সাথে তাদের কাজের দক্ষতা কে প্রমাণ করে থাকে। সবার নিশ্চয়ই একটি কথা মনে আছে যখন ফ্রান্সে আমাদের হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবমাননা করা হয়েছিল তখন কিন্তু তাদের ওয়েবসাইটে আমাদের এই বাংলাদেশের হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা তাদের ওয়েবসাইটে আক্রমণ করেছিল। 

 অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে  কোন লিংক বা সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হ্যাকিং করা  এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হ্যাকিং পাসওয়ার্ড ম্যাচিং সফটওয়্যার,  হ্যাকাররা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি কে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে,  অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা সফল হয় আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা সফল হয় না। এর মাঝখানে তারা কিছু লিংক তৈরী করে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যে লিংক গুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় কিছু পোস্ট দেওয়া থাকে যাতে করে আপনি এখানে ক্লিক করলে আপনার  যে  তথ্যগুলো আছে তারা সেগুলো নিয়ে নেয় তাদের কম্পিউটারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা আমাদের এ অ্যাকাউন্ট গুলো কিভাবে সুরক্ষিত করতে পারি।
 
তার মাঝে একটি কথা বলতে চাই পৃথিবীর যারা ইন্টারনেটের সাথে কানেকশন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট গুলো ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে প্রায়
 
পাসওয়ার্ড পরিচালনা করতে 53% লোক তাদের মেমরির উপর নির্ভর করে। ৫১% লোক কাজ এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট উভয়ের জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। ফিশিং আক্রমণে ইতিমধ্যে কেলেঙ্কারী হওয়া 57% লোক এখনও তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেনি। "123456" পাসওয়ার্ডটি এখনও 23 মিলিয়ন অ্যাকাউন্টধারীরা ব্যবহার করে।
আপনাদের বোঝার স্বার্থে এর নিচে ছবি দেওয়া আছে




আমরা যারা সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করি সেটি হোকনা ফেসবুক হোয়াটঅ্যাপ টুইটার  ইউটিউব জিমেইল অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি, আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে অ্যাকাউন্টগুলো যদি ইম্পর্টেন্ট হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সিকিউরিটির উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত হ্যাকিং থেকে নিজের পার্সোনাল একাউন্ট গুলোকে রক্ষা করা যায়, সেগুলো মেন্টেন করতে হলে আমাদেরকে কিছু রুলস ফলো করতে হবে। সেগুলো কি? প্রথমে আমাদেরকে একাউন্টের সিকিউরিটি উপরে গুরুত্ব দিতে হবএ, যাতে করে একাউন্ট হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সাধারণত কমন পাসওয়ার্ড হ্যাক করার ক্ষেত্রে এক্সপার্ট যারা এটি সহজে করতে পারো। আপনি যদি আপনার সোশ্যাল সাইট গুলোতে  স্ট্রং  পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করেন তাহলে এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।  আমি আপনাদেরকে উপরে বোঝার জন্য দেখেছিলাম কমন পাসওয়ার্ড দেওয়াটা যেমন আপনার সোশ্যাল সাইট গুলোর জন্য ভয়ঙ্কর তেমন করে আপনার নিজস্ব ইনফরমেশন তথ্য গুলো ওদের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন একাউন্ট খোলার সময় কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করবেন, যাতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট গুলো আরো সুরক্ষা প্রদান করা যায়,  প্রথম ধাপ অনুসরণ করবেন একটি রিকভারি ইমেইল, দ্বিতীয় ধাপটি রিকভারি ফোন নাম্বার,  এবং তৃতীয় হচ্ছে স্ট্রং পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করা, এ তিনটি বিষয়ের উপরে যদি আপনি গুরুত্ব দিতে পারেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট (99) পার্সেন্ট নিরাপত্তা প্রদান করতে পারবেন।  

দর্শক এই লেখাটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং শেয়ার করবেন ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ